Showing posts with label Poems. Show all posts
Showing posts with label Poems. Show all posts

Friday, 22 March 2024

आज घर चलते है

आज सुबह कुछ अलग सा है,
नींद टूटी हवा की सरसराहट से,
आधा अधूरा अँधेरा छाया हुया है इधर उधर,
अचानक ऐसी बदलती मौसम में मन कहीं दूर भाग चला है

घूमता हुया भवंडर जैसे पानी की लहरें आने लगी है
डरी हुयी पंछियो की आवाज़ों से कहीं यह मौसम रूठ न जाये,
घुटन सी थी जो रात, आज उसमे जान सी छाई है,
ताज़ी हवा की छीटें मुझे ले चली है कहीं और

उड़ता हुया एक पतंग बंधी पड़ी थी पेड़ के सिरहाने,
आज उसे आज़ादी सी मिल गई,
उसके साथ मन किया जाऊ उड़के कहीं दूर,
वह दूर कहीं और नहीं,
मेरे अपने घर,
मेरे अपने घर

Wednesday, 3 January 2018

স্বপ্ন

মেয়েটি হারিয়ে গেছে
চারপাশের মাঠ ঘাস আকাশ আজ তার অজানা
অচেনা মানুষজন
আজ মেয়েটি সুন্দর
দুধ সাদা পোশাকে তার পৃথুলা গড়নটা ঢেকে গেছে
মুখের উপরে এলোমেলো চুল তাকে অবিন্যস্ত করেছে
তবু আজ সে সুন্দর

অজানা একটা বাগানে আজ ভোজ বসেছে
লতাপাতা ডালপালার ফাঁক দিয়ে লোভনীয় খাবারের সারি
দুর্ভিক্ষের পর এ যেন এক অপার্থিব চড়ুইভাতি

কেউ যেন মেয়েটিকে বশ করেছে
মেয়েটি আজ নিজেকে মেলে দিচ্ছে উদার উদাসীনতায়
সারি সারি হাত শ্বাপদের মত তার দিকে ছুটে চলেছে
মেয়েটি নিরুপায়
তবু আজ সে সুন্দর
বড় সুন্দর

অস্থির গোধূলিতে একটা মায়াবী নীলচে জাহাজ জলে ভেসে এলো
পাশে তার চিড়িয়াখানা
আদিমতায় আচ্ছন্ন পথভ্রান্ত পথিকের পা থমকে যায়
জাহাজটা আবার ডুবে যাচ্ছে

খেলোয়াড় মন আজ পোড়োবাড়ির উঠোনে হাঁক দেয়
দরজায় ঠেস দিয়ে বসে
চৌকাঠে পা তুলে দেয়
নির্লজ্জের মতো দু হাত বাড়িয়ে বলে "ভাত খাবো, ভাত দাও"
আর রাঁধুনির হাতে ধরা চিরুনি থমকে যায়, "দাঁড়াও, আগে চুল আঁচড়াই"

হিংস্রতা আজ অনেক নিম্নস্তরে
চিতাবাঘ আজ বেড়ালের গোত্র
গুঁড়ি মেরে বসে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে - তপস্বী যেন
পাঁচটা সাদা লক্ষীপ্যাঁচা আজ শিকার হয়
গা পুড়ে যায় জ্বরে
পলিথিনে মোড়া চিতা জলের খোঁজে টিউবওয়েল খুঁজে মরে

পৃথুলা মেয়েটি আজ নাচে 
চারিদিকে জমে ওঠে আলো, বেজে ওঠে তার
হিসেবে রাখে না কেউ
ঠোঁটে রং মাখে
বিশ্রী দাঁতের পাটি উঁচু হয়ে থাকে
আর তার পিছনে মাড়ির গহীনে লুকিয়ে থাকা ঝামার প্রাচীর জেগে থাকে
হলুদ দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকে মরা মাছের চোখ, অবিরাম
তবু আজ মেয়েটি সুন্দর
বড় সুন্দর।

Friday, 27 October 2017

চতুর্থ বাঁকের পরের রাস্তাটা

এলোমেলো হাঁটছি এখন,
গড়িয়ে গড়িয়ে নুড়ির মত।
মত্ত পায়ে ঠোক্কর খাচ্ছি আর খুঁজছি
চতুর্থ বাঁকের পরের রাস্তাটা।
যখন হাঁটা শুরু করেছিলাম
সেই আধ ঘন্টা আগে বোধ হয়,
কিংবা ঘন্টা দুয়েক,
মনে করতে পারছি না এখন আর-
স্মৃতি তালগোল পাকিয়ে কাদার মত থকথকে হয়ে উঠছে।
যা বলছিলাম, যখন হাঁটা শুরু করেছিলাম
খুঁজছিলাম একটা ঠিকানা,
অথচ পাচ্ছিলাম না-
কেউ একজন এগিয়ে এসে বলেছিল,
চতুর্থ বাঁকের পরের রাস্তাটা নিতে হবে।
তারপর থেকে খুঁজে চলেছি,
কতগুলো বাঁক গেলে পরে চতুর্থ বাঁকটা পাব-
মনে পড়ছে না আর এখন।
নেশা কেটে যাচ্ছে বারবার,
তবু চার দেয়ালের মধ্যিখানে ঘুরছি,
একই জায়গায়
একই বৃত্তের ভিতর,
চতুর্থ বাঁকের পরের রাস্তাটা খুঁজে পাচ্ছিনা।
খুঁজে দেবেন আমায়?

Wednesday, 14 December 2016

হারিয়ে গেছি আমি

আজ আর সেই ঘর নেই
যে ঘরে আমি বড় হয়েছিলাম
ছোট ছোট পায়ে হাঁটতে শিখেছিলাম যে রেলিং ধরে
আজ সেই সিঁড়িগুলোও নেই
হারিয়ে গিয়েছে কত কিছুই
ছেলেবেলার যত্নে কুড়োনো খোলামকুচি
হঠাৎ আদর পাওয়া ফাটা ফুটবল
সন্ধ্যেবেলার শাঁখের আওয়াজ
ঘুমোতে যাওয়ার আগে দশটা কুড়ির খবর
রবিবারের টিভির সকাল
বছরে দুবার ছুটি ছুটি
আজ আর সেই ঘর নেই

সে বাড়ির বুক চিরে আকাশ ছোঁয়া ইমারত
বাগানগুলো হারিয়ে গেছে পার্কের দাপটে
যত্ন করে ঘাস গজানো, ছোটদের ঢেঁকি-দোলনা
আমার সেই আমগাছটা আর নেই
স্থলপদ্ম, কামিনীরাও কোথাও চলে গেছে
এখন শুধু সময় সময় জল ছিটানো হয়
কেউ গাছগুলো জড়িয়ে ভালবাসে না

আমার পাড়া হারিয়ে গেছে
চারিদিকে নতুন মানুষের ভিড়
আমার খেলার মাঠ
আমার মন খারাপের পুকুরপাড়
আমার প্রাণখোলা আকাশ
সব আজ ঢেকে গেছে উঁচু ইঁটের স্তুপে
আর এদের মাঝেই কোথাও হারিয়ে গেছে আমার ছেলেবেলা
হারিয়ে গেছি আমি
আমার অর্ধেক মানুষটা

Monday, 5 December 2016

গৃহদাহ

পোড়াতে চেয়েছো তুমি
জানো পুড়লে কেমন লাগে?
অল্প অল্প ধোঁয়া পাক খেয়ে উঠতে থাকে 
দমবন্ধ করা বাষ্প গুলিয়ে দেয় গা 
আলোগুলো ঝাপসা হয়ে যায় মুহূর্তে 
এপাশ ওপাশ থেকে লুকিয়ে থাকা পোকাগুলো বেরিয়ে আসে 
অনেক পুরোনো সোঁদা গন্ধমাখা লেপ তোষকের আগুন ধিকিধিকি 

তাপ বাড়তে থাকে তারপর 
ছাইচাপা আগুনেও শিখা জ্বলে ওঠে
উষ্ণতা দুর্বিষহ হয় বাইরে অন্তরে 
শেষ রসটুকু শুষে নেয় লেলিহান 
জ্বলতে জ্বলতে মনে হয় এক কথা 
এও তবে ভালো, যেন সব শুদ্ধ হয়ে যাওয়ার আশায় 
পোড়াতে চেয়েছো ঘর, আমি জানি আজ পুড়লে কেমন লাগে।




Thursday, 28 July 2016

আকাশের জন্য

কাল থেকে আকাশের জন্য খুব মন কেমন করছে
হৃদয় নিংড়ে নেওয়া বৃষ্টি অনেকদিন ধরে নিঃশেষ করে দিচ্ছে অনুভূতি
অঝোর ধারে বয়ে যাচ্ছে স্মৃতি, সুখ, আনন্দের মুহূর্ত
অথচ আমি তো বৃষ্টিই চেয়েছিলাম।

দারুন গ্রীষ্মে ভেতরটা তখন শুকিয়ে কাঠ
মন ফুঁড়ে উঠে আসছে আর্তি, কান্নার মত আঠালো,
দু গাল বেয়ে নামছে দুঃখের ধারা, কষ্টের ব্যথাকে সঙ্গী করে
বিদ্রোহী চেতনা ঢেকে দিচ্ছে উন্মুক্ত শৈশব।

শুষ্কতা ঢেকেছে অন্তর আমার
অন্তরালে থাকা স্নেহ চাপা রয়ে গেছে
এতদিন আজ বড় কম দিন নয়
প্রলেপ কি দিতে পারে উদ্ধত রাগ !

তবু আজ মন ভারী লাগছে আবার
এতদিন পর বৃষ্টিকে দোষী লাগছে কি ?
না হলেও হতে পারে, উন্মাদ মন -
মেঘ সরিয়ে আবার আকাশকে দেখতে ইচ্ছে করছে।




Wednesday, 29 June 2016

সময়টা বড় সুখের না

সময়টা বড় সুখের না,
কাছের হাতগুলো এক এক করে দূরের দিকে পাড়ি দিচ্ছে।
অল্প পাক ধরা সাদা মাথাগুলো আজ তুলোর গাছে লীন।
অনেকদিনের না দেখা মুখগুলো ঝাপসা হয়ে আসছে ক্রমশ।

বয়স বাড়ছে সবার।
বাড়তে থাকা ধুলোর স্তরে ঢাকছে তরল স্মৃতি।
নিঃশ্বাসে ফুরোচ্ছে আয়ু, জলের মত।
একদিন আমিও বুড়ো হব,
শিরশিরে হাতে বয়স আবরণে ঢেকে দেবে শরীর,
অন্তহীন এই যাত্রার মাঝে কয়েকটা হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সময়-
দেখে বেছে নিতে হবে,
অথবা তাদেরও দিতে হবে যেতে।

অদৃশ্য বালুরাশি কাঁচের বয়ামে বন্দি,
মুক্তি চাইছে তারাও,
অতলান্ত নীলে ডুবলে হয়ত ব্যথা বাজবে কম।
দূরের হাতছানি আজ ভাবাচ্ছে আমায় খুব।
সময়টা আজ সুখের না,
সময়টা বড় সুখের না।

Wednesday, 15 June 2016

আমার কলম

আমার কলম রিক্ত ছিল
সুপ্ত মনের ছায়া,
অন্ধ দেওয়াল বন্ধ দুয়ার
মৌন মুখর মায়া।

আমার কলম দৃপ্ত হল
তরবারির শান,
উজ্জলতার উচ্ছাসে আজ
অভ্রভেদী বান।

আমার কলম ক্ষুব্ধ দেখো,
যুদ্ধ ভরা দেশে,
মুক্তি দেবে সেই কলমই
অন্ধ রাতের শেষে।

আমার কলম বলবে যে আজ,
তীব্র তেজের ধার,
উদ্বেলিত হৃদয় জোয়ার
মানবে না আর হার।

Friday, 4 March 2016

আজ ফিরি বাড়ি

শিরশিরে হাতে ঘুম ভাঙিয়েছে ভোর
আলো নেই আজকের সকালবেলায় 
অসময়ে ধূসরের ছোঁয়া পাওয়া দিন 
টেনে নিয়ে যায় মন ইচ্ছে খেলায় 
ধুলো নিয়ে ছোট ছোট ঘূর্ণির দল
মনের গলির মাঝে ঘোরে ইতি উতি  
একডাকে ছুটে আসা কুকুরের মত 
ফোঁটা ফোঁটা শুরু হল, থাক বর্ষাতি
ত্রস্ত কাকের দল কা কা ডাকে ঝড়
দৌড়ে পালাতে গিয়ে পড়ে যাওয়া লোক
গুমোটের মেঘ কেটে ফুরফুরে হাওয়া 
আজকের দিনটা খুব ভালো হোক
গাছের পাতায় আজ বান ডেকে আনে 
মাতাল হাওয়ার সাথে ছেঁড়া এক ঘুড়ি
আজ তবে থাক সব পড়ে যে যেখানে
আজ তবে থাক সব, আজ ফিরি বাড়ি





Tuesday, 19 January 2016

সময়

সম্পর্ক কেমন যেন কাঁচের বাসনের মত
ঠুনকো, অস্থায়ী বড় 
হালকা হাওয়ায় বা আঙুলের আলতো চাপে ভঙ্গুর 
সময়ের সমীকরণে বদলে বদলে যায় 
এদিকের ঘুঁটি ওদিকের হাতের বাধ্য হয়
মাত্সর্য বিষে জ্বলে যায় মনের শরীর 
গর্জে ওঠা হুঙ্কারে ঢাকে অবচেতনের কান্না 
প্রতিবাদে প্রতিরোধে মুহূর্তে চুরমার 
জেগে ওঠা ব্যথা ধীরে শীতলের পথ ধরে 
স্মৃতি ফিরে আসে তারপর 
থেকে থেকে ডাক দিয়ে যায় 
বিদায়ী সময় চায় একটু আবেগ
ভাঙা কাঁচ জোড়া লাগে সময়ের টানে।


Thursday, 4 June 2015

সে রাত শুধু

অন্য হাওয়ায় নাম লিখব বলে
অনেক দূরে এলাম এবার চলে
সময় যখন কাঁচা মাটির মত
ইচ্ছেগুলো পাকিয়ে যেন সুতো
মন-পূরণের স্বপ্নগুলো ধরে
সময় আবার যাচ্ছে এখন সরে
সাধ হয় তাদের নামগুলো দিই সোনা
অনেক দিনের আদর দিয়ে বোনা
বিকেলবেলার নরম রোদের টানে
আশকারারা সময় ডেকে আনে
সেই সময়ে ভিজিয়ে নিয়ে হাত
ডাকিয়ে নিলাম টুকরো চাঁদের রাত'
সে রাত থাকুক দূরের শঙ্খচিলে
সে রাত শুধু তোমায় আমায় মিলে
সে রাত জাগুক ভোরের আবছা নীলে
সে রাত শুধু তোমায় আমায় মিলে 

Friday, 23 January 2015

ঘর

একটা দেওয়াল জুড়ে ছবি,
সাদা-কালো মন ছেয়ে আছে-
টেবিলের পাশে গন্ধ-বাতি,
আঁধারে ছায়ার দেহ নাচে।

রান্নাঘরের টুং-টাং,
নতুন চাদর পাতা ঘরে,
ফুলদানিতে জারবেরা
পুরিয়া বাজছে মৃদুস্বরে।

পাটভাঙা পাজামা-পাঞ্জাবি,
শাড়ির আকাশ-ঘন মন,
বাতাসে অল্প মাদকতা,
অবসরে সুখী গৃহকোণ।

বন্ধুরা নিমন্ত্রিত সব,
একে একে গাড়ির মিছিল,
শহুরে শৌখিনতা
মনের ভেতর গাংচিল।

দুটি মন বেঁধেছে সংসার,
দুটি হাতে হাত ধরে থাকা,
দুটো রাত কৌতুহলী,
দুটো দিন একেবারে একা।

অনেক বসন্ত হলে পার,
এই ঘরে দুই বুড়ো-বুড়ি,
অনেক ধুলোর মাঝে বলা-
চল আবার ঘর শুরু করি।


Friday, 25 July 2014

যুদ্ধশিশু

সন্ধ্যে নামছে দূর থেকে
আকাশটা লাল আজও সেই
হাওয়ায় ধুলোর সাথে ছাই
ঘরে আজ আলোটুকু নেই।
ঘরই বা কোনদিকে গেল
হিসেবের নেই কোনো ঠিক
মনে পড়ে পেটে বড় খিদে
হাঁটু গেড়ে আছে আণবিক।
মা বলে ডেকেছিল কাকে
ঘুমের কঠিন জালে ফেরা
অস্তাচলের রং লাল
আরো লাল করে দিল এরা।
মাঝরাতে চমকের সাথে
মুছে গেল শহরের নাম
মুছে গেল সবটুকু থাকা
মুছে গেল সব অবিরাম।
ছিটকে  পড়েছে দেখো হাত
ঐপাশে কারো পাও আছে
বাড়িগুলো শুধু দাউ দাউ
স্মৃতিগুলো বেওয়ারিশ বাঁচে।
ফিরে আসে থেকে থেকে ব্যথা
চমকে চমকে ওঠা ভয়
বুঝে গেছে শেষ নেই কোনো
এইখানে মৃত্যুও নয়।
মা বাপ নেই জানে আর
নেই কোনো পিছু ফিরে দেখা
লালরঙা সন্ধ্যের মাঝে
মর্জিনা একেবারে একা।
একটু পরেই ওরা ডাকবে
সংখ্যার নামে ওর নাম
এক্কা দোক্কা খেলা শুরু
এক্কা দোক্কা বিশ্রাম।
হাসিনাও কাল চলে গেছে
ক্যাম্পের আলোটাও ক্ষীন
হাজার শেকেল দাম ওর
হাজার রাতের বেদুইন।
ছুঁয়ে দেখে নিজের কপাল
মর্জিনা পিছু ফিরে চায়
দুরে, বহুদূরে ঐ কিছু
সন্ধ্যের লাল দেখা যায়।
এসময় ওর  ঘরে ফেরা
খেলা শেষ হয়ত বা হয়
আজ সেই চোখজুড়ে শুধু
যুদ্ধশিশুর বিস্ময়।


Wednesday, 23 July 2014

সিলুয়েট


বিক্ষত বুক যদি

ভেঙে দেয় সুখ

মন যদি টেনে আনে

নদীর গহীন

ডুব দাও সেই জলে

দিন খুঁজে পাবে

রাত যদি হয়ে থাকে

দিগন্তহীন