পথের যেথায় শুরু, তুমি
ঠিক সেইখানে ছিলে দাঁড়িয়ে,
বলা হয় পথ চলতে যখনই
দিলে তুমি পা বাড়িয়ে
শুরুর পথে কাঁকর কেবল
রুক্ষ শুষ্ক জমি,
অনায়াস পায়ে পার হও মরু
পার হও তটভূমি
চলতে চলতে কখনো সে পথ
উষর, কখনো তাজা,
কখনো সে পথ সবুজ, কখনো
সে পথ দিয়েছে সাজা
কত শত কাঁটা বিঁধেছে যে পায়ে
হিসেব রাখেনি কেউ
কে বা রাখে খোঁজ কোন সে সাগরে
ওঠে দিনে কত ঢেউ
চলতে সে পথে এসেছে বন্ধু,
কখনো পথের সাথী,
কেউ বা দিয়েছে উজাড় করে,
কেউ চেয়েছে দুহাত পাতি
পথের বন্ধু পথেই থেমেছে,
কেউ বেঁকে গেছে পথে,
কারও বা জন্য বাহন এসেছে,
কেউ বা চড়েছে রথে
তবু তুমি ছিলে অবিচল,
তবু থামনি কখনো একা,
যাই এসে থাক বৃষ্টি বা ঝড়,
পেয়েছে তোমার দেখা
দেখেছে ঝন্ঝা, দেখেছে অবাক,
তুমি চলেছে অনির্বাণ
সবাই অন্ধ সবাই বেবাক
চলেছ হে মহাপ্রাণ
যে যখন যবে এসেছে কাছে,
করেছ তাদের দান-
হে মহাজীবন তাদের সবারে,
আবেগের অনুদান
স্রষ্টা যে তুমি সৃষ্টিরে তাই
অনায়াসে দাও প্রাণ,
তোমা দিয়ে ধোওয়া সে অববাহিকা
তোমাতেই করে স্নান
আজ তুমি ফের সে পথে দাঁড়িয়ে
যেইখানে পথ শুরু
অপার্থিব এ মায়ার বৃত্ত
এঁকে দিলে মহাগুরু
এইখানে এসে পার হয় সবে
পারানির কড়ি হাতে;
তোমার ঝুলি কড়িতে যে ভরা-
দুমুঠো প্রনাম দিলাম তাতে
লও এ প্রনাম হে মহাজীবন,
সাধ্য যে নাই আর,
এইখানে এসে পথ চলা শেষ-
বাকি শুধু পারাপার...