আমার বাড়ি কলকাতা নয়,
শিবপুর আমার বাড়ি,
হাওড়া স্টেশন নাম শুনেছ?
ঠিক পাশেতে তারই।
পাঁচশো বছর বটগাছটার
শহর তারও বেশি,
বিদেশ বিভুঁই ছুঁয়ে এসেও
মনটা ভীষণ দেশী।
ওপার থেকে ডাকলে যেমন
এইপারে যায় শোনা,
রাতের আলোয় সেতু দুখান
রেশম দিয়ে বোনা।
গঙ্গা যেমন ওদিক দিয়ে
হাওয়ায় টানে মন,
এপার দিয়েও বইতে থাকে,
দুই তীরে বন্ধন।
উত্তরে সেই মোহনবাগান,
এই পারেতেও তাই,
কালীঘাট আর ভবানীপুরের
যমজ যেন ভাই।
কোথাও কোনো অমিল তো নেই,
আত্মাদুটোও সেই,
শহরভাগের তর্জমা তাই
এসবখানে নেই।
শহর দিয়ে যায় না চেনা
কার যে কোথায় ঘর,
কার যে কোথায় হারিয়ে পাওয়া,
টুকরো বার-অন্দর।
পুজো আসে, মাতিয়ে আসে,
ভরিয়ে দিয়ে বুক,
প্রবাস থেকে দৌড়ে এসে
বাড়িই আমার সুখ।
বাড়ি শুধু বাড়ি তো নয়,
মনের কোনের বাসা,
বাড়ি আমার অনেক বেশি
আবেগ দিয়ে ঠাসা।
পুজোর জোয়ার জাগলে মনে
বাড়ির কথা আসে,
বাড়ির ছায়া ভাসতে থাকে
নিঃশ্বাসে প্রঃশ্বাসে।
বাড়ির কোনো দেশ হয় না,
হয় না কোনো রাজ্য
এসব আমরা বানাই কারণ
মানুষ যে বিভাজ্য।
বাড়ি আমার, বাড়ি তোমার,
পুজোয় বাড়ি যাওয়া,
অনেক কমের বিনিময়ে
অনেকখানি পাওয়া।
পুজোর টানে গা ভাসিয়ে
দিই যখনি পাড়ি,
যেইখানেতে বাংলা শুনি
সেইখানে মোর বাড়ি।