Wednesday 19 August 2020

পশু

মানুষ ভীষণ অন্ধ দেখি
নামেই আছে চোখ
দেখে শুধুই সেটা যেটা
দেখায় সাধের লোক

মানুষ ভীষণ ভুলো সে যে
যায় কেবলই ভুলে
কালকের দুর্বৃত্তকে আজ
নাচে মাথায় তুলে

মানুষ ভীষণ পলকা আবার
জলের উপর ভাসে
স্রোতের মত যায় চলে আর 
স্রোতের মত আসে

মানুষ ভীষণ বোকাও দেখো
হাওয়ার কথায় নাচে
নিজের বোধে মরে সে আর
লোকের ভয়ে বাঁচে

তারচে' আমি পশুই ভাল
একটি কথার প্রাণী
অনেক মিথ্যে বন্ধু ভুলে
কোনটা সঠিক জানি

Friday 7 August 2020

ঐ গাছেতে

বৃষ্টি পড়ে ঝমর ঝম,
খিচুড়ি আর আলুর দম।
গাছের গায়ে সন্ধ্যে নামে,
দিনটা ফুরোয় সময় কম।

ইলিশভাজা আর খিচুড়ি
চড়িয়েছিলাম বার্নারে,
শেষ হয় কখন রান্নাখানা
হচ্ছে আঁধার, আর না রে-

ঐ যে যারা বাস্তুহারা
গাছের মাথায় যাদের বাস,
আসছে নেমে হাত বাড়িয়ে
দেখলে চোখে, নাভিশ্বাস!

নাকনাকানি বাক্যি কয়ে
আসছে কেমন তরতরি,
চমকে পিলে হাত পা তুলে
মুচ্ছো যাব রাখহরি!

থাক না বাবা গাছের মুড়োয়
কাজ কী তোদের মোর সাথে?
ইলিশ না হয় দুয়েক খানা
পাঠিয়ে দেব আজ রাতে!

চুন্নি আমার মানিক আমার
ইলিশ খেয়ো প্রাণভরে,
বেম্মদাদা তোমার জন্যে
পাঠাব ডাল অড়হরের।

মামদোবাবু মলছি যে কান
মুর্গি না হয় কাল নিলে-
তাই বলে আজ ঘ্যাঁক কোরো না
ফুর্তি রাখো ঐ দিলে।

আর যে বাকি রইলে দাদা,
কিম্বা দিদি ঐ গাছে,
দয়ায় তোমার এই বেচারা
প্রাণ নিয়ে ভাই রোজ বাঁচে। 

©️সংরক্ষিত

বাইশে

গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজো
করতে তোমার বাধে?
এক কবিতা লিখেই ফেলো
দিন যাপনের সাধে।

যে আলোটা অনেক হয়ে
ছড়িয়েছিল দেশে-
আজকে তাকেই হারিয়ে খুঁজি
কোন সে নিরুদ্দেশে!

সেই কথারা সেই সুরেরা
সেই সে ভীষণ আলো,
আজ আঁধারে তোমরা ফিরে
“তীব্র দহন জ্বালো”।

সব দেখেছি সব সয়েছি
সব ভোলানোর ছলে,
মনকে তবু প্রশ্ন করি
বিবেকটা কি বলে!

এই পড়েছি? এই শিখেছি?
এই কি আমার ভাষা?
এই কি আমার সাধের দেশ
যা আবেগ দিয়ে ঠাসা?

চলতে চলতে সব ভুলেছি
মানুষ কাকে বলে!
কোন নিয়মে ধর্ম সবার
ঘাড় ধরে পথ চলে!

মরেও তুমি বেঁচেই গেছ
নইলে এদিন খানি
পথের ধুলোয় কাদায় জলে 
আনতো তোমায় টানি!

তারচে যদি ফিরতে পারো
অন্য রকম বেশে,
অন্য কোনো অলৌকিকে
অন্য আলোর রেশে,

তবেই ফিরো কল্কি হয়ে
ভাঙতে সকল বাঁধ-
তোমায় ডেকে তোমায় ভেবে
এইটুকু মোর সাধ।

©️সংরক্ষিত